কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানিতে রাশিয়ার সাথে চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং জাতিসংঘ।
শনিবার (১৮ মার্চ) পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কানাক্কালে এক বক্তৃতায় এরদোয়ান জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে আলোচনার পর চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। তবে চুক্তির মেয়াদ কতদিন বাড়ানো হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ৬০ দিনের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে। তবে ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী বলছেন, চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
গত জুলাইয়ে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়। এরপর থেকে ইউক্রেনের তিনটি কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর থেকে ১১ মিলিয়ন টনেরও বেশি কৃষি পণ্য পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে সাড়ে চার মিলিয়ন টন ভুট্টা এবং তিন দশমিক দুই মিলিয়ন টন গম রয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, এই চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই, যারা মেয়াদ সম্প্রসারণের জন্য প্রচেষ্টা চালানো বাদ দেয়নি, সেইসাথে জাতিসংঘের মহাসচিবকেও ধন্যবাদ জানাই।
ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুব্রাকভ বলেছেন, সর্বশেষ চুক্তিটি আরও ১২০ দিনের জন্য বর্ধিত হয়েছে। আঙ্কারা আগে বলেছিল, তারা ১২০ দিনের এক্সটেনশন চায়। অন্যদিকে রাশিয়া ৬০ দিনের এক্সটেনশনের পক্ষে ছিল।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ, প্রেসিডেন্ট রজন তাইয়্যেব এরদোয়ান, (প্রতিরক্ষা) মন্ত্রী হুলুসি আকর এবং আমাদের সমস্ত অংশীদারদের চুক্তিতে অটল থাকার জন্য কৃতজ্ঞ জানাই।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, আমরা বিভিন্ন রিপোর্টে দেখছি যে চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি...যে রাশিয়ান পক্ষ চুক্তির সমস্ত পক্ষকে অবহিত করেছে যে তারা চুক্তিটি ৬০ দিনের জন্য বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়লো উত্তর কোরিয়া
তিনি জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধিত্বের একটি চিঠির একটি অনুলিপি পোস্ট করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, মস্কো চুক্তির মেয়াদ ৬০ দিন বাড়িয়ে ১৮ মে পর্যন্ত করতে আপত্তি করবে না।
যুদ্ধের আগে ইউক্রেন ছিল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য উৎপাদক, এবং তথাকথিত ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটকে প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের ফলে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ অবরুদ্ধ করে ফেলে।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.