মাদারীপুরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৯ যাত্রী নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ইমাদ পরিবহনের।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, অতিরিক্ত গতির কারণে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, কবলিত বাসটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে। ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
তাদের দাবি, বাসগুলোর গতিসীমা মানতে সড়কে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ না করলে পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।
এদিকে সকালের দুর্ঘটনার ক্ষত না শুকাতেই বিকেলে সড়কটিতে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে রুমিন ও হানিফ পরিবহনের দুটি বাস।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ের কেরাণীগঞ্জ জেলখানার পাশে আব্দুল্লাহপুর নামক স্থানে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রুমিন পরিবহনের একটি বাস অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রেলিংয়ের উপর উঠিয়ে দেয়। পরে তার পেছনে আসা হানিফ পরিবহনের আরেকটি দ্রুতগতির বাস রুমিন পরিবহনের বাসকে ধাক্কা দেয়।
এতে হানিফ পরিবহনের বাসটিও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চালকসহ অন্তত ছয় থেকে সাত জন যাত্রী বাসের ভেতরে আটকা পড়েন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ের শাকিব খান
উদ্ধারকারী পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সড়ক গতিসীমা নির্ধারিত থাকলেও ব্যক্তিগতসহ গণপরিবহনগুলো তা মানছে না। প্রায় প্রতিটি গাড়ি ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলছে সড়কটিতে। আর তাতেই ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.