কুমিল্লায় ছয় বছরের এক কন্যা শিশুকে অপহরণের পর দাবি করা মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারনা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
নিহত শিশুটির নাম তানিশা (৬)। সে দাউদকান্দি উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের প্রবাসী রাসেল মিয়ার মেয়ে এবং প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল তিনটার পর থেকে নিখোঁজ থাকে তানিশা। পর ওই দিন দিবাগত রাত তিনটার দিকে শিশুটির বাড়ির পাশের একটি ভুট্ট ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মাহফুজ (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে।
এদিকে রোববার (১৯ মার্চ) দাউদকান্দিতে শিশুটি অপহরণ, হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। তারা আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন। পরে প্রশাসন দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিলে তারা সড়ক থেকে সরে যান। এরপর দাউদকান্দি থানার সামনে গিয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন।
তানিশার চাচা ফয়সাল জানান, বিকেল তিনটার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে অপরিচিতি নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় শিশুটি তাদের কাছে আছে। একই সঙ্গে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা চাওয়া হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার শাজাহান মিয়াকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ অপহরণে জড়িত একজনকে আটক করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যে তানিশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে অতিরিক্ত গতিতেই দুর্গতি
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.