যারা দেশের উন্নয়ন দেখেনা, তাদের চোখ থাকতে ‘অন্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে ভাঙা রেকর্ড বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ২৯ বছর তারা ক্ষমতায় ছিলো, দেশকে কী দিয়েছে?
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, টানেলের মতো অবকাঠামো যেমন নির্মিত হয়েছে, তেমনি কৃষি খাতে গবেষণা উন্নয়নে সারা বছর সব খাবার সহজে মিলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আর বেসরকারি টেলিভিশনের সুবিধাও নিচ্ছে সমালোচকেরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম এবং তার শেকড় অনেক গভীরে। অত্যাচার আর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগ একটা আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।
দেশের মানুষ আর বোমাবাজ, সন্ত্রাসী, এতিমের টাকা আত্মসাতকারীদের ভোট দেবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বিএনপি দেশে জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিবেশ তৈরি করেছিল। কিন্তু এদেশে আর তেমন শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারবেনা।
এসময় আগামী দিনের রূপকল্পে কেমন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ তাও পরিষ্কার বলে দেন সোনার বাংলার রূপকার।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে এদেশীয় কিছু বেইমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।
আরও পড়ুন: একাত্তরে সংবাদের পর ওয়াসার ‘আজগুবি কাণ্ডে’ কোপ
সরকারপ্রধান বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করে। ইতিহাস শুধু বিকৃত করা না, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আদর্শকে বিসর্জন দেয়। বাংলাদেশের মানুষ আবার সেই অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসে। ৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত; এই সময়টা যদি দেখেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ৯৬ সালে যতটুকু আমরা অর্জন করে গিয়েছিলাম, ২০০১ সালের নির্বাচনের দিন থেকে বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার, নির্যাতনের স্বীকার হয় আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা আক্রমণ করে, হত্যা করে, চোখ তুলে নেয়, হাত কেটে দেয়, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.