ঢাকা ০৫ জুন ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

কেমন আছে সাদ্দামের সাধের সেই প্রমোদতরী?

মনিরুজ্জামান বাবু, একাত্তর
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৪:৫৮
কেমন আছে সাদ্দামের সাধের সেই প্রমোদতরী?

দক্ষিণ ইরাকের শাত-আল-আরব নদীতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার একটি প্রমোদতরী। এই বিলাসবহুল প্রমোদতরীটি ছিল দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের। 

দুই দশক আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলায় প্রমোদতরীটি ধ্বংস করা হয়। এখন এটি সাদ্দামের শাসনামলের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে পর্যটকদের নজর কাড়ছে। 

দক্ষিণ ইরাকের শাত-আল-আরব নদীতে ভাসছে জং ধরা একটি প্রমোদতরী। তবে, এটি কোনো যেনতেন প্রমোদতরী নয়। এর পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস।

শখ করে ১৯৮০ সালে ‘আল-মনসুর’ নামের প্রমোদতরীটি তৈরি করেন এক সময়ের ইরাকের সাবেক সর্বাধিনায়ক এবং শাসক সাদ্দাম হোসেন। 

১২১ মিটার দীর্ঘ বিলাসবহুল নৌযানে ছিলো ২০০ জন অতিথির থাকার ব্যবস্থা। ভিভিআইপি ইয়টে ছিলো হেলিপ্যাডও। যদিও এই প্রমোদতরীতে চড়ার সুযোগ হয়নি সাদ্দামের। 

২০০৩ সালে মার্কিন হামলার পর আল-মনসুরকে রক্ষার চেষ্টা হয়। বাসরা শহরের নিরাপদ স্থানে সরানো হয় প্রমোদতরীটিকে। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। 

আমেরিকার গোয়েন্দারা ঠিকই খুঁজে বের করে এই প্রমোদতরীকে। তারপর মার্কিন বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় সাদ্দামের সাধের ইয়ট। পরবর্তীকালে চলে লুটপাটও। 

যুক্তরাষ্ট্র সে সময় দাবি করেছিলো অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়েই প্রমোদতরীটি কিনেছিলেন সাদ্দাম। প্রমোদতরীতে চড়েই দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা ছিলো ইরাকি নেতার।

২০০৩ সাল থেকে এত দিন এভাবেই ছিলো সেটি। তবে, ইদানীং সাদ্দামের এই প্রমোদতরীটি আবারও কৌতূহলের কেন্দ্রে এসেছে।

বর্তমানে পরিত্যক্ত প্রমোদতরীটি স্থানীয় বাসিন্দা এবং জেলেদের বিশ্রামের জায়গা। পানির মধ্যে এক টুকরো ধাতব দ্বীপে পিকনিকের মজা নেন অনেকে। 

ইরাক ভ্রমণে আসা পর্যটকরা এটি একবার চোখের দেখা দেখে যান। অথচ এটি যখন সাদ্দামের মালিকানায় ছিল, তখন কেউ এর আশপাশে যেতে পারত না। 

রাজা এবং রাজত্বের অবসান হয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে পড়ে আছে এককালের বিলাসবহুল প্রমোদতরী আল-মনসুর। হয়তো যাদুঘর হিসাবেই থেকে যাবে এটি। 



একাত্তর/এআর

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads