জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করে ব্রয়লারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও শুক্রবার সকালের বাজারে আগের দামেই বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের আগের পাইকারি দরেই কিনতে হয়েছে, তাই দাম কমানোর সুযোগ নেই। তবে বিকেলের বাজারে মুরগির দাম কমেছে কেজিতে কমপক্ষে ২০ টাকা।
আর বরাবরের মতোই বেশি দামেই বিক্রি হয়েছে গরু আর খাসির মাংস। তবে প্রতিবার রমজান মাসের শুরুতে মাংসের বাজারে ভিড় থাকলেও এবার তেমন একটা নেই।
প্রথম রোজা এবং একই সঙ্গে শুক্রবার বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই কারণে বাজারে ক্রেতার আনাগোণা ছিলো অন্য যে কোন দিনের চেয়ে বেশি। ক্রেতার আনোগোনায় মুখর বাজার।
মুরগির বাজারে শুক্রবার থেকে নতুন নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বড় ব্যবসায়ীরা তবে এই প্রতিশ্রুতির প্রতি খুব একটা ভরসা করতে পারেননি ক্রেতার।
রাজধানীর এক বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আবার কারওয়ান বাজারে ২৭০ এবং মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারে দেখাগেল ২৫০ টাকা।
কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতাদের সেই একই উত্তর। তারা জানান, যে দামে কেনা সেই দামেই বিক্রি ছাড়া উপায় নেই। পাইকারি ব্যবসায়ীরা আগে রাতের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনি।
বাজারে অবশ্য ক্রেতাদের মধ্যে সবচেয়ে অসন্তোষ মনিটরিং নিয়ে। তাদের দাবি শুধু প্রজ্ঞাপন ও ভাষণে নয়, বাজারেও নিয়ন্ত্রণের প্রভাব থাকতে হবে।
প্রতিশ্রুতি রক্ষায় রোজার প্রথম দিন শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, দেশি মুরগি ৭০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে অন্য মাংসের বাজারেও ক্রেতা সমাগম বেশ। কারণ শুক্রবার। খাসি, গরু, বকরির যে দাম দোকানের তালিকায় রয়েছে তা বিক্রি হচ্ছে সেই দামের ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দরে।
বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেন বেড়ে গেলো মাংসের দাম, সেই উত্তর জানা নেই কারো কাছে। গরুর কেজি ৭২০-৭৫০ টাকা, আর খাসির কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.