ঢাকা ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

চকের ইফতারিতে এবারও হিট ‘বড় বাপের পোলায় খায়’

ডলার মেহেদী, একাত্তর
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৫:১৪ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৯:১২
চকের ইফতারিতে এবারও হিট ‘বড় বাপের পোলায় খায়’

প্রথম রমজানেই রাজধানীর পুরান ঢাকায় জমে উঠেছে ইফতার বাজার। বরাবরের মতো এবারও দেখা গেছে বাহারি ইফতারের আয়োজন। তবে, এবার ইফতার পণ্য ও সামাগ্রীর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারাও জানালেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিরূপায় হয়েই এবার প্রায় সব ইফতার পণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে। 

প্রথম রমজানে জুমার নামাজের পরপর ইফতার পসরা সাজিয়ে বসে পুরনো ঢাকার চকবাজারের বিক্রেতারা। আবার, ক্রেতাদের সামনেই তৈরি হতে থাকে নানা পদের কাবাব, বিভিন্ন কাটলেট, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, বেগুনি, আলুর চপ।

এসবের মধ্যে জনপ্রিয় আইটেম বড় বাপের পোলায় খায়। ৭৮ বছর আগে শুরু হওয়া এই খাবার কিনতে ক্রেতাদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাবারটির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা যেন বেড়েই চলছে। কথায় হিট আইটেম ‘বড় বাপের পোলায় খায়’।


গত বছর ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এ বছর তা ২০০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা বলছেন, ১২ পদ দিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ আইটেমটি। সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে বিক্রি হচ্ছে এই বিশেষ খাবার।

এছাড়া চকবাজারের ইফতারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শাহী পরোটা, আস্ত মুরগির কাবাব, গরুর সুতি কাবাব, বটিকাবাব, টিকাকাবাব,  চিকেন কাঠি, শামিকাবাব, শিকের ভারী কাবাব, সুতিকাবাব, জিলাপি, শাহী জিলাপি, হালিম, দইবড়া, কাশ্মীরি সরবত, খাসির পায়া।

গেলো বছর যে চিকেন ফ্রাইয়ের দাম ছিল ৮০ টাকা, এবার সেই আইটেম বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকা। ১৮০ টাকার চিকেন স্টিক এবার ২৪০ টাকা। শাহি জিলাপি গত বছর ছিলো ৩০০ টাকা কেজি। এ বছর সেটাই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।


আর শাহী পরোটার দাম ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গরুর সুতি কাবাব কেজি প্রতি ১৪০০ টাকা, খাসির সুতি কাবাব ১৬০০ টাকা, ছোলা-ঘুঘনি ৩০০ টাকা কেজি, ফালুদা এক লিটার ২০০ টাকা, দইবড়া পিস ২০ টাকা, সাধারণ জিলাপি ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার বাহারী ইফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই এসেছেন চকবাজারে। পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো সায়মন বলেন, 'বাসায় আমাদের ইফতারি বানানো হয়। তারপরও আমরা বাইরে থেকে ইফতার নেই কারণ এটা আমাদের একটি রেওয়াজ।

পুরান ঢাকার আরেক বাসিন্দা আইয়ুব আলী বলেন, বাসায় ইফতার বানানো হলেও বাইরে থেকে ইফতার না নিলে, মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে গেল। তবে এ বছর ইফতারের দাম বেশি থাকায় একটু কম কম কিনছি।


একাত্তর/এসি


মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads