ঢাকা ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না গাইড বইয়ের দৌরাত্ম

শারমিন নীরা, একাত্তর
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৩ ২১:১৬:৪৩
কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না গাইড বইয়ের দৌরাত্ম

বহু চেষ্টার পরও গাইড বইয়ের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছে না। বাজারে মিলছে নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সহায়ক বই। ফলে নতুন কারিকুলাম মুখ থুবড়ে পড়বে বলে শঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। তবে এনসিটিবি বলছে, গাইড বইয়ের সঙ্গে মূল্যায়ন পদ্ধতির কোনো মিল থাকবে না।

শিক্ষার্থীরা করে করে শিখবে, দক্ষ হবে। এতেই কমবে মুখস্থ করার প্রবণতা। থাকবে না কোচিং বা গাইড বইয়ের দৌরাত্ম। চালু হওয়া নতুন কারিকুলাম নিয়ে এমনটা বলা হলেও বছরের পৌনে তিন মাসের মাথায় বাজারে মিলছে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচির গাইড বা সহায়ক বই।

রাজধানীর বইয়ে দোকানগুলো ছেয়ে গেছে এমন গাইড বইয়ে। এর ফলে নতুন কারিকুলাম মুখ থুবড়ে পড়বে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম জানান, গাইড বইয়ের কারণে সেই পুরনো পথেই রয়ে যাবে শিক্ষা ব্যবস্থা।


‘সহায়ক বই’ নামে গাইডে বাজার সয়লাব। ‘একের ভেতর সব’ নাম দিয়ে তৈরি এসব গাইড এখন বিক্রিও হচ্ছে বেশ। স্কুলে-স্কুলে এসব গাইডের সৌজন্য কপিও পাঠানো হচ্ছে। পাঁচ খণ্ডের এক সেট বইয়ের দাম নেয়া হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। 

তাহলে কি নতুন কারিকুলামে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আস্থা নেই, এমন প্রশ্ন উঠলেও, নকল করতে পারে এমন শঙ্কায় গাইড বইয়ের দৌরাত্ম ঠেকাতে সামষ্টিক মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করছে না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের গাইড বই অবৈধ। এ ধরণের বই পড়ে কোনো লাভ হবে না। আমাদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন। ধারাবাহিক মূল্যায়নে গাইড বই কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না।


তিনি বলেন, ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নের (পরীক্ষা) নির্দেশনা আমরা কৌশলগত কারণে দেইনি, যাতে কেউ গাইড না তৈরি করতে পারে। গাইড প্রকাশকরা গত বছর থেকে এই নির্দেশনার জন্য ঘুরছে। আমাদের এ নির্দেশনা প্রস্তুত থাকলেও আমরা প্রকাশ করিনি।

তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের গাইড অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা। এসবের মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না। শুধু শুধু টাকা ও সময়ের অপচয় হবে।

আর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এ ধরনের গাইড আসার কথা না। শিক্ষা আইন না থাকার কারণে, অনেক উদ্যোগই নেয়া যাচ্ছে না। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও ১৯৮০ সালের আইনে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গাইড নিষিদ্ধ।


একাত্তর/এসি


মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads