সেঞ্চুরি হাঁকালেন লিওনেল মেসি। তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলের জার্সিতে মেসি স্পর্শ করলেন শত গোলের মাইলফলক। ফিফা প্রীতি ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিকে কুরাসাওকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনার হয়ে ৯৯ গোল নিয়ে মাঠে নামেন মেসি। ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিটের মাথায় লো সেলসোর অ্যাসিস্টে এলএমটেন পেয়ে যান কাঙ্খিত সেই গোল। প্রথমার্ধের আগেই আরও দুই গোল করে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। প্রথমার্ধেই পাঁচ গোলে পিছিয়ে পড়ে কুরাসাও।
বিরতির পরও মেসি বাহিনীর দাপট। পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার ১৭টি অন টার্গেট শটের বিপরীতে কুরাসাও শট নিতে পারেনি একটিও। ম্যাচের শেষ দিকে ডি মারিয়া আর গনঞ্জালো মন্তিয়েলের গোলে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে সাত গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তবে খেলার ফল ছাপিয়ে আলো ছড়িয়েছে মেসির রেকর্ড। গোলের সেঞ্চুরি করতে রেকর্ড সাত বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির লাগল ১৭৪ ম্যাচ। এ নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের তৃতীয় এবং প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড় হিসেবে এই রেকর্ড স্পর্শ করলেন মেসি।
তার আগে ইরানের আলী দাই এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এই রেকর্ড স্পর্শ করেন। আলী দাই ১৪৮ ম্যাচে ১০৯ গোল। তিনি ২০০৪ সালের নভেম্বরে শততম গোল করেন। ১৯৮ ম্যাচে ১২২ গোল নিয়ে শীর্ষ অবস্থান পর্তুগালের ফরোয়ার্ড রোনালদোর। তিনি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গোলের সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন।
এবার তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ লিওনেল মেসি স্পর্শ করলেন এই রেকর্ড। ২০০৬ সালের মার্চেই জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন মেসি। এরপর ১৭ বছর পরে এসে গোলের শতক হাঁকালেন এই কিংবদন্তি।
১৭ বছর আগে আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির প্রথম গোল ২০০৬ সালে। প্রীতি ম্যাচের বাইরে মেসির গোলের সংখ্যা ৫৪। যার মধ্যে ২৮ গোল এসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। ফুটবল বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় তিনি করেছেন সমান ১৩ গোল করে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.