ঢাকা ০৫ জুন ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

ভারতে বিলুপ্তির ৭০ বছর পর চিতাশাবকের জন্ম

একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮:৪০ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ২০:১১:০০
ভারতে বিলুপ্তির ৭০ বছর পর চিতাশাবকের জন্ম

ভারতে চিতাবাঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করার ৭০ বছর পর দেশটিতে জন্ম নিয়েছে চারটি চিতাশাবক। 

বুধবার (২৯ মার্চ) ভারতের পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব সুসংবাদটি ঘোষণা করে এটিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা’ বলে অভিহিত করেন।

দেশটি কয়েক দশক ধরে চিতাবাঘের পুনঃপ্রবর্তনের চেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও ১২টি চিতা। 

কুনো ন্যাশনাল পার্কের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে গত সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা এক চিতাবাঘের ঘরে এই চারটি শাবকের জন্ম হয়েছে। 

এক টুইটবার্তায় খবরটি ঘোষণা করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য এবং অতীতে করা একটি পরিবেশগত ভুল সংশোধন করার জন্য প্রজেক্ট চিতার পুরো দলকে অভিনন্দন জানাই’। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ‘অসাধারণ খবর’কে স্বাগত জানিয়েছেন।

বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শাবক চারটি পাঁচদিন আগে জন্মালেও বুধবার কর্মকর্তারা তাদের দেখেন।

পার্কের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মা সিয়ায়া এবং শাবকগুলো ভালো এবং সুস্থ রয়েছে।

তবে নতুন শাবকের ঘোষণা আসে কুনো জাতীয় উদ্যানে অন্য আটটি নামিবিয়ান চিতার মধ্যে একটি কিডনি ব্যর্থতার কারণে মারা যাওয়ার মাত্র দুইদিন পরে।

আরও পড়ুন: পবিত্র পর্বতে কাপড় খুলে ছবি তোলায় রুশ পর্যটক বিতাড়িত

গত বছর তাদেরকে ভারতে নিয়ে আসার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও বৃহৎ মাংসাশী প্রাণীকে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে স্থানান্তরিত করা হয় এবং বন্যের মধ্যে পুনরায় প্রবর্তন করা হয়। 

চিতা- বিশ্বের দ্রুততম স্থল প্রাণী- ১৯৫২ সালে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বছরের পর বছর শিকার, বাসস্থানের ক্ষতি এবং খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত শিকার না থাকার কারণে এদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। 


একাত্তর/এসজে

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads