ঢাকা ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

পোলাও চাল, জিরা ও শুকনো মরিচের দাম বাড়তি

সুশান্ত সিনহা, একাত্তর
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩ ২০:০৭:১৪ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ২০:৩০:৫২
পোলাও চাল, জিরা ও শুকনো মরিচের দাম বাড়তি

রমজানের সময় চাহিদা বাড়ায় ভরা মৌসুমেও গত দু’মাসে প্যাকেটজাত পোলাওয়ের চালে বেড়েছে ২০ টাকা। বছরের ব্যবধানে তা ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। 

প্যাকেটের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে খোলা পোলাও চালের দামও। একমাসে জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০ টাকা। আর, শুকনো মরিচে বেড়েছে ৬০ টাকা। 

মূলত চার কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে দেশের প্যাকেটজাত পোলাও চাল। তিন কোম্পানির প্রতি কেজি প্যাকেটের দাম ১৭০ টাকা। একটির দাম ১৬৫ টাকা। দু’মাস আগেও যা ছিল ১৫০ টাকা কেজি।

বড় কোম্পানিগুলো প্যাকেটের দাম বাড়ানোয় খোলা পোলাও চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। 

মাংস পোলাও খাওয়ার হিসাবটা আরও একটু কঠিন করেছে জিরার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। রোজা শুরুর আগে ৪৫০ টাকা জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি। 

তবে, তুরস্কের জিরার দাম কেজি প্রতি ৯০০ টাকা। আর ঝাল ঝাল মাংস খেতে চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তাও। কারণ শুকনো মরিচের বাজারও বাড়তি। 

গেল কয়েক দিনে শুকনা মরিচের দামও বেশ খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৪০ টাকায়.!

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ইফতারিতে ব্যবহৃত ইশপগুলের ভুষির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি।

তবে অধিকাংশ মসলার দামই অপরিবর্তিত আছে গত সপ্তাহের তুলনায়। তবে কেজিপ্রতি ১০ টাকা দাম কমেছে পেঁয়াজের দাম। 

রমজানের শুরু থেকে অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৪ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৮ টাকা।

আরও পড়ুন: মাছ-মাংসের অগ্নিমূল্যে কমে গেছে ক্রেতা

আর দেশি রসুন ৯০ টাকা, চায়না রসুন ১২০-১৩০ টাকা, দেশি আদা ২০০ টাকা, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা ও চায়না আদা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

অপরিবর্তিত আছে আলুর দামও। প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। 


একাত্তর/এসজে

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads