একটি জাতীয় দৈনিক সাংবাদিকতার সকল রীতিনীতি ভেঙে ১০ বছরের এক শিশুকে ব্যবহার করে দেশের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করেছে বলে মন্তব্য করেছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
তাদের দাবি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ও সংবাদ প্রকাশ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের সকল রীতি-নীতি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে উপেক্ষা করে পাঠকের সাথে প্রতারণা করে অমার্জনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এধরনের অপরাধমূলক সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার কর্তৃক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সুতরাং এধরনের প্রতারণামূলক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার মতো সুমহান পেশার নামে অপসাংবাদিকতা এবং গর্হিত অপরাধ। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ পত্রিকাটির সাংবাদিকতার রীতি নীতি পরিপন্থি এ ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছে। উপরন্তু পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পেশাজীবীসহ সবাইকে রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে সই করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এএফএম মেসবাহ উদ্দিন, মহাসচিব ও বজবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচায অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাড, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল আ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, হাবিপ্রবির উপাচায অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফারুক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড আব্দুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক, শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ এর মহাসচিব ডা. কামরুল আহসান মিলন, কেআইবির মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন শিবলু, বিএফইউজের মহাসচিব সাংবাদিক দীপ আজাদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন, প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগম, বাকবিশিস এর মহাসচিব অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.