জাপানে আনুমানিক ১৪ লাখ ৬০ হাজার কর্মক্ষম মানুষ “হিকিকোমোরি” অবস্থায় রয়েছেন বা সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন, সম্প্রতি সরকারি এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
দেশটির মন্ত্রিপরিষদ দপ্তরের বরাতে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে জাপানজুড়ে ১০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী মোট ৩০ হাজার লোকের ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে। এতে মোট ১৩ হাজার সাতশ' ৬৯জন নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
জরিপে দেখা গেছে, অন্ততপক্ষে ছয় মাস ধরে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ২ শতাংশেরও বেশি লোকজন অধিকাংশ সময় বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বা শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব শখ সংশ্লিষ্ট কারণে বের হয়েছেন।
১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার সাত বছর আগে প্রকাশিত একটি জরিপ অনুযায়ী ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ০৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে, ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার চার বছর আগে প্রকাশিত অন্য একটি জরিপে প্রাপ্ত ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ০২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারিকে সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মহামারি চলাকালে সামাজিক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এই বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠায় নেমেছে প্রথম আলো: কাদের
অন্যদিকে গেলো কয়েক বছর ধরে জাপানে আশঙ্কাজনক হারে কমছে জনসংখ্যা।
এর আগে জাপানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিক্রুট ওয়ার্কস ইন্সটিটিউটের পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০৪০ সাল নাগাদ এক কোটিরও বেশি কর্মী ঘাটতির মুখে পড়তে পারে জাপান। শ্রমের চাহিদা স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও ২০২২ সাল থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশটিতে কর্মী সরবরাহ প্রায় ১২ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের আনুমানিক মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি এবং লিঙ্গ-প্রজন্মের ভিত্তিতে কর্মীদের অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস তৈরি করা হয়েছে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.