মাত্র ২৩ বছর বয়সেই উত্তরার আলোচিত আদনান হত্যাসহ দশটি মামলার আসামি ডয়চে ভেলের প্রামাণ্যচিত্রে সাক্ষাৎকার দেয়া নাফিজ মোহাম্মাদ আলম।
২০১৬-২৩ সাল পর্যন্ত একটি হত্যা, তিনটি হত্যা চেষ্টা, নারী ও ব্যবসায়ীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার কারণে পর্ণগ্রাফি ও মাদক আইনে এসব মামলা হয়।
একাত্তর টিভির হাতে আসা একটি ছবিতে দেখা গেছে প্রকাশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে নাফিজ মোহাম্মাদ আলম। যিনি সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে নাফিজ গড়ে তোলেন কিশোর গ্যাং গ্রুপ। তার সেই গ্রুপের হাতেই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উত্তরায় খুন হয় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আদনান। সেই মামলার এজাহার ভুক্ত ৯ নম্বর আর চার্জশিটের দুই নম্বর আসামি নাফিজ।
র্যাব বলছে, নাফিজ রাজধানীর বিভিন্ন নামী-দামী রেস্টুরেন্টে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করতো। পরে নিজেই বনে যায় মাদক কারবারি। বাসার ভেতরে খাটের চারপাশে বিদেশী মদের বোতল সাজিয়ে রাখা ছিল তার নেশা।
ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে বিমান সর্বত্রই তার হাতে থাকতো মাদক। এসব মাদক সে বিক্রি করতো সিন্ডিকেট নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে।
২০১৬ সালে নাফিজ মোহাম্মাদ আলমের বিরুদ্ধে প্রথম একটি হত্যা চেষ্টা মামলা হয়। ২০১৭ সালে হয় আদনান হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। ওই মামলায় ২০০ দিন কারাভোগের পর নাফিজ ফেসবুকে তার কারামুক্তি উদযাপন করেছিলো।
নাফিজের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারিরিক সম্পর্কের ছবি তুলে নারীদের ব্ল্যাকমেই করা। তার মোবাইলে এমন কিছু ছবি মিলেছে যা প্রচারের যোগ্য নয়।
র্যাব বলছে, ফেসবুকে সিন্ডিকেট নামের যে গ্রুপের মাধ্যমে নাফিজ মাদকের ব্যবসা করত তার সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা তাও খুজে দেখা হচ্ছে।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.