ঢাকা ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে রোডম্যাপ হলেও অগ্রগতি নেই

ডলার মেহেদী, একাত্তর
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩ ১৬:০০:৩১
থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে রোডম্যাপ হলেও অগ্রগতি নেই

দেশে প্রতি আট জনে একজন মানুষ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। প্রতি বছরে গড়ে রোগী বাড়ছে প্রায় আড়াই হাজার। রোগটির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি রংপুর বিভাগে।

সেখানে প্রায় ২৯ শতাংশ জনগোষ্ঠি থ্যালাসমিয়া আক্রান্ত বা রোগটির বাহক। এই রোগ নির্মূলে পাঁচ বছর আগে একটি রোডম্যাপ ঠিক করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই।

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, দেশের ১০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বা রোগটির বাহক।


গবেষণা বলছে, রোগটির বাহক সবচেয়ে বেশি রংপুরে শতকরা ২৯ শতাংশ। রাজশাহীতে ১৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৩, সিলেটে ১১ চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ৯ শতাংশ।

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। রক্তের ক্যানসারও নয়। এটি প্রতিরোধযোগ্য। থ্যালাসেমিয়ার বাহক আর রোগী এক কথা নয়।

একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে। তাই কেউ থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না, তা বাহ্যিকভাবে বোঝার কোনো উপায় নেই।

থ্যালাসমিয়া আক্রান্তদের শরীরে রক্ত তৈরি হয় না। তাই প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার রক্ত নিয়ে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। এতে খরচ হয় ১০-৩০ হাজার টাকা। যা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব।


বাবা-মা দুজনই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন তাহলে সন্তানেরও রোগটি হবার ঝুকি থাকে শতভাগ। আর বাবা-মা যে কোনো একজন বাহক হলে সন্তানের হবার ঝুঁকি থাকে ৫০ ভাগ। 

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমদ বলেন, থ্যালাসমিয়া থেকে মুক্ত থাকার অন্যতম উপায় হলো বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা। 

২০০২ সালে মালদ্বীপে একটি আইন করা হয়। এই আইনে পাত্র-পাত্রীর থ্যালাসমিয়া আছে কিনা সেই সক্রান্ত সনদ কাজী অফিসে জমা দিতে হয়। 

আরও পড়ুন: বুধবারের মধ্যে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’

আইনটি করার পর মালদ্বীপে থ্যালাসমিয়া ৯০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাংলাদেশেও এমনটা করার প্রস্তাব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রক্তের গ্রুপ উল্লেখ করার মতো জাতীয় পরিচয়েপত্রেও থ্যালাসেমিয়ার বার্তা দেয়া যায় কিনা, সেটিও ভাবা হচ্ছে। 


একাত্তর/এসি


মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads