বাসাবাড়িতে মিটারবিহীন গ্রাহকের গ্যাসের ব্যবহার কম দেখানোর কারণে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ‘সিস্টেম লস’ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন মোল্লা।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, তিতাসের সিস্টেম লস কমাতে হলে অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
মিটারযুক্ত বাসা বাড়ির গ্যাসের ব্যবহার ৫৫ থেকে ৬০ ঘন মিটারের বেশি নয়। এমন হিসাব উল্লেখ করে গেলো বছর বাসাবাড়ির মিটারবিহীন গ্রাহকের এক চুলার জন্য ৫৫ ঘনমিটার ও দুই চুলার জন্য ৬০ মিটার গ্যাস নির্ধারণ করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
তবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী গেলো ছয় মাসে গ্রাহকের গড় ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৭ ঘনমিটার। এমন অবস্থায় মিটারবিহীন গ্রাহকের গ্যাসের ব্যবহারের হিসাব ৭৭ ঘনমিটার করার দাবি জানিয়েছেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।
এনার্জি কমিশনের সাবেক সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, গ্রাহক প্রতি গ্যাসের ব্যবহার হিসেব নিকেশ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো।
সিস্টেম লস কমাতে হলে তিতাসকে গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে সব গ্রাহককে মিটারের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সিস্টেম লসের অজুহাত দেখিয়ে গ্যাসের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এতে দুই চুলায় মাসিক গ্যাসের বিল ৫১২ টাকা বাড়াতে চায় রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলায় গ্যাস সরবরাহকারী এই বিতরণ সংস্থা। আর এক চুলায় মাসে ৩৯০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
গত জুনে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ সময় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা করা হয়। তবে মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য মাসে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দুই চুলায় ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলায় ৫৫ ঘনমিটার ধরা হয়।
এতে দুই চুলার মাসিক বিল ১ হাজার ৮০ ও এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণার ১০ মাস পর এখন আপত্তি জানাচ্ছে তিতাস।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়িয়ার নগর প্লাজায় নেই আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা
তিতাসের নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে দুই চুলার মাসিক বিল হবে ১ হাজার ৫৯২ টাকা। আর এক চুলায় বিল হবে এক হাজার ৩৮০ টাকা।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.