ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত অভিনেতা শাকিব খান। অপু বিশ্বাসকে ছেড়ে বুবলীর সঙ্গে কিছুদিন ভালোই কেটেছিল শাকিবের সংসার। কিন্তু এর পরেই দানা বাঁধতে থাকে কলহ।
আর সেই কলহের তাপ এখন সংসারের গণ্ডি বেরিয়ে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এই দুই অভিনয়শিল্পী পরস্পরকে ব্যক্তিগত চরিত্র হননেও পিছু পা হচ্ছেন না। গণমাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসায় মেতেছেন।
সবশেষ গত ৯ মে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব জানিয়েছেন, বুবলীর সাথে তার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে।
পরদিনই জবাবে নিজের ফেসবুক পেজে বুবলী জানান, তাদের এখনও সম্পর্ক আছে। সেই সাথে শাকিবের দিকে কিছু অভিযোগের তীর ছুড়ে দেন তিনি।
সবশেষ মা দিবসে শাকিব পাল্টা অভিযোগ ছুড়ে বলেন বুবলী মিথ্যাচার করছেন।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্দার বাইরে তারকাদের এহেন কর্মকাণ্ড দর্শকদের আরও চলচ্চিত্র বিমুখ করছে, মানুষের কাছে হাসির পাত্র হতে হচ্ছে।
তাদের মতে, নিজেদের বিষয় গণমাধ্যমে না এসে নিজেদেরই সমাধান করে ফেলা উচিত।
শাকিব বুবলী অভিনীত বীর ছবির পরিচালক কাজী হায়াত বলছেন, তাদের এমন কাণ্ড কেউ ভালো চোখে দেখছে না। এসব কারণেই দর্শক চলচ্চিত্র বিমুখ হচ্ছে।
‘চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত বলেন, এরা যদি নিজেরা চুলোচুলি করে হাসির পাত্র হয় তাহলে দায়িত্বটা এদেরই বর্তায়। এদেরই ক্ষতি হচ্ছে।’
জ্যেষ্ঠ চলচ্চিত্র শিল্পীরা বলছেন, তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা উচিত নয়। বরং নিজেদের সমস্যা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলা উচিত।
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘যার যার ব্যক্তিত্ব তাকেই রক্ষা করতে হবে। শিষ্টাচারের বাইরে যেতে পারবে না কেউ। যাওয়া উচিৎ না।’
আরেক অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান বলেন, সাকিব-বুবলী-অপু; এটা একটা সমাধানে আসা উচিৎ।
জনপ্রিয় তারকাদের সবকিছু অনুসরণ করেন নবাগত শিল্পীরা। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এমন নেতিবাচক আলোচনা হলে তারাইবা কাদের কাছ থেকে শিখবে- এই প্রশ্নও তুলেছেন জ্যৈষ্ঠ তারকারা।
একাত্তর/আরবি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.