দাম বাড়বে এই আশঙ্কায় বাজেটের আগে রিকন্ডিশন গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। যদিও ব্যবসায়ীরাও বলছেন বিক্রির এই চিত্র সাময়িক। উল্টো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং এলসি সঙ্কটে গাড়ির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। 

ফলে বছরের বাকি সময়ে স্বাভাবিকের চেয়েও বিক্রি কমেছে ৫০ শতাংশের মতো। এমন অবস্থায় দাম সহনীয় রাখতে আসছে বাজেটে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে সব রকম সম্পূরক শুল্ক তুলে নেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদি কর পরিকল্পনার চেয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। 

আর কয়েক দিন পরই হবে ঘোষণা বাজেট। ব্যক্তিগত গাড়িতে বিভিন্ন শুল্ক আরোপের ফলে দাম বাড়বে এমন আশঙ্কায় শোরুমে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ক্রেতারাও বলছেন গেলো কয়েক মাস ধরে প্রতিদিনই প্রাইভেট গাড়ির দাম বাড়ছে। 

আসতে বাজেটে রিকন্ডিশন গাড়ির ওপর কর আরও বাড়বে বলে শুনেছেন তারা। তাই সাধ্যের মধ্যে একটি গাড়ি কেনার চেষ্টা করছেন তারা। অন্যদিকে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, গাড়ির জন্য ঋণ নেয়ার পরিমাণও বাড়ছে। তারাও ঋণ দিতে আগ্রহী। 

তবে, আমদানিকারকরা বলছেন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে এরই মধ্যে গাড়ির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে এলসি জটিলতায় গাড়ির নতুন চালান কম আসছে। আগে প্রতি মাসে গড়ে দুই হাজার ইউনিট গাড়ি আমদানি হলেও বর্তমানে নেমেছে ৭০০ থেকে ৫০০ ইউনিটে। সব মিলিয়ে গাড়ির বাজারটি অস্থির।

আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারক সমিতি বারভিডা বলছে, বর্তমানে গাড়ি আমদানি কমায় রাজস্ব আয় নিম্নমুখী। তাই রাজস্ব বাড়ানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় কিছু শুল্ক কমিয়ে গাড়ির দামে সমন্বয় প্রয়োজন। হাইব্রিড এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতেও দিতে হবে উৎসাহ।

দেশে চলাচলকারী মোট গাড়ির প্রায় ৮০ শতাংশই রিকন্ডিশন্ড। এগুলোর ক্রেতা বেশিরভাগই উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত। আর বিত্তবানদের কমবেশী সবারই আগ্রহ এসইউভির প্রতি। সাম্প্রতিক সময় দেশে এসইউভি বা ফোর হুইলার বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। 

একাত্তর/এসজে