বাঙালি এক তরুণের হাতে স্যাক্সোফোন। সেই মধুর যন্ত্র দিয়ে তিনি বাংলা সুরমূর্চ্ছনায় রাঙিয়ে দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য দর্শক শ্রোতার মন।
পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে লালন থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের গানের সুরের ঝংকার তুলছেন তিনি। সেই তরুণের নাম বিরসা চ্যাটার্জি।
বাংলা সঙ্গীতের সুরকে হৃদয়ে ধারণ করে পাশ্চাত্যের সঙ্গে অপূর্ব এক মেলবন্ধন সৃষ্টি করে চলেছেন তরুণ সেক্সোফনোজিস্ট বিরসা চ্যাটার্জি।
বাঙালি এই তরুণ তার স্যাক্সোফোনের অসাধারণ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে কেবল আমেরিকায় নয়, নিজেকে মেলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে।
বিরসা চ্যাটার্জি ২০১৯ সালে দ্য ওবারলিন কনজারভেটরি অফ মিউজিক থেকে স্যাক্সোফোন এবং ভোকাল পারফরম্যান্সে স্নাতক হন।
এরপর জুলিয়ার্ড স্কুল থেকে সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে পা রাখেন বৃহত্তর পরিসরে। শুরু হয় বিরসা এক অন্যজীবন।
তবে তার অগ্রযাত্রার শুরু জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি জাজ হাউজ কিডস এবং লিংকন সেন্টারে জ্যাজ, মিউজিকে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে।
এক্ষেত্রে মেধার স্বীকৃতি হিসেবে তিনিই প্রথম জেমস মুডি বৃত্তি অর্জন করেছিলেন। তবে বিরসা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন পাশ্চাত্যসঙ্গীতের সঙ্গে প্রাচ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে।
স্যাক্সোফোনের মাধ্যমে তিনি লালন থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথসহ বাংলা গানকে আমেরিকাসহ বিশ্বদরবারে তুলে ধরছেন।
এজন্য নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি দল, যারা কার্নেগি হল, জ্যাজ গ্যালারি, ব্লু নোট জ্যাজ ক্লাব, স্মল জ্যাজ ক্লাবসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান করেছেন।
কেবল তাই নয়, বিরসা জ্যাজ গ্রেটদের সাথেও বাজিয়েছেন। ডমিনিক ফেরিনাচি, টেরেন্স ব্লানচার্ড এবং বিলি হার্ট কোয়ার্টেটের সাথে পারফর্ম করেছেন তিনি।
নিজের কাজের মধ্য দিয়ে, বিরসা চ্যাটার্জি যে, ভিন্নধারার সূচনা করেছেন; এর মধ্য দিয়ে, বাংলা সঙ্গীতের বিপুল সম্ভারকে তিনি দিনে দিনে, দুনিয়াজোড়া অসংখ্য মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চান।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.