নিত্যপণ্য, যাতায়াত কিংবা বিদ্যুৎ-গ্যাসের খরচ- সব মিলিয়ে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। চলতি অর্থবছর বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আসছে বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই বেশি মনোযোগ দেয়া হবে। এজন্য আমদানি শুল্কে ছাড়, সামাজিক নিরাপত্তার বলয় বাড়ানোসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশে এ বছর এমন এক সময়ে বাজেট ঘোষণা হচ্ছে, যখন দেশটিতে মূল্যস্ফীতি এবং আর্থিক সংকট চলছে, সেই সঙ্গে বছর শেষে হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশের জনসংখ্যার প্রতি একশ’ জনের ১৯ জনই দরিদ্র। আর এর ঠিক ওপরের কাতারে যারা তাদের জীবনমানও ঠিক ততোটা উন্নত নয়। এদের আয়ের ৬০ শতাংশ-ই খরচ হচ্ছে খাদ্যের পেছনে, যা ২০১৭ সালেও ছিলো ৪৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি পাঁচ শতাংশে রাখার লক্ষ্য স্থির করেছিলো সরকার। যদিও চড়া বিশ্ববাজার আর অভ্যন্তরীণ বাজারের অবস্থাপনাসহ নানা কারণে মূল্যস্ফিতির অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উল্টো রেকর্ডও ভেঙ্গেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফিতি লক্ষ্যমাত্রা আরো এক শতাংশ বাড়িয়ে ধরতে যাচ্ছে সরকার। কারণে মূণ্যস্ফীতিকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হবে আসছে বাজেটে। সরকার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক আছে।
তবে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষের জীবনযাত্রার খরচে লাগাম টানতে সরকারের সুনর্দিষ্ট কোন দিক নির্দেশনা ছিলো না বছরভর। আগামী বাজেটে সেটি যেনো না হয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে স্বস্তি দিতে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সরাসরি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বাজেট উদ্যোগ নেবার কথাও বলছেন তারা। অন্য সব বছরের তুলনায় এ বছরের বাজেট কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
একাত্তর/এআর
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.