গত অর্থবছরে খুচরা পর্যায়ে মুঠোফোন বিক্রিতে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। বড় আকারে সুফল পেতে ভ্যাট মুক্তি জরুরি বলেও জানান তিনি।
এদিকে, আগামী বাজেটে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের ওপর ভ্যাট তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অপারেটররা। সেসাথে তালিকাভুক্ত অপারেটর সার্ভিসের ওপর দুই শতাংশ করমুক্তি চান তারা।
একজন গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সেখান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স-রেভিনিউ শেয়ারিং এবং স্পেকট্রাম-ফি মিলিয়ে সরকার পাবে ৫৪ টাকা।
আবার গ্রাহক তার স্মার্টফোনটি যদি ৩ বছর ব্যবহার করেন, প্রতি বছর দুই হাজার টাকা করে সরকারের কোষাগারে যাবে ছয় হাজার টাকা।
এই যুক্তি দিয়ে মোবাইলফোন অপারেটররা জানান, এরপরও যদি খুচরা পর্যায়ে মোবাইল সেটের উপর ভ্যাট আরোপ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য টেলিকম সেবা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে।
দেশের শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান মনে করে নতুন বাজেটে স্মার্ট ডিভাইসের উপর বাড়তি ট্যাক্স যুক্ত হলে, প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের স্মার্ট ডিভাইস কেনা কঠিন হবে তাতে তারা বঞ্চিত হবে সরকারের ডিজিটাল সেবা থেকে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের কর্পোরেট ট্যাক্স আসছে বাজেটে কমানোর দাবিও জানিয়েছেন এখাতের অপারেটররা।
টেলিকম খাতে নতুন বিনিয়োগ আর উদ্ভাবন সম্ভবনাকে এগিয়ে নিতে অপারেটরদের উপর থেকে দুই শতাংশ ট্যাক্স মওকুফেরও আবেদন করছে আরেক অপারেটর রবি।
মোবাইল ফোন রিটেইলে ভ্যাট থাকা উচিত নয় মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও। তিনি জানান, এটি স্মার্ট বাংলাদেশ মিশনের সাথেও সাংঘর্ষিক।
মোস্তফা জব্বার বলেন, টেলিকম খাত এখন যে রাজস্ব দেয়, তা আরও অনেক বাড়বে, যদি স্মার্টফোনের আরও বিস্তার হয়।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.