কান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলকে ভিসা দেয়নি ফ্রান্স দূতাবাস। ফলে এবারের আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সরকারি কোনো প্রতিনিধির আর যোগ দেওয়া হলো না।
সূত্র জানায়, বিএফডিসি সংশ্লিষ্টরা গভর্মেন্ট অর্ডার (জিও) জটিলতায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় ভিসা পাওয়ার কথা থাকলেও তারা পাননি। কারণ হিসেবে সময় স্বল্পতার কথা বলা হয়েছে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ভিসা নিশ্চিত না হলেও টিকিট কাটাও চূড়ান্ত হয়েছিল। এমিরেটস এয়ারলাইন্সে তাদের ফ্লাইট ছিলো মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।
প্রতিনিধি দলের অন্য তিন সদস্যের মধ্যে ছিলেন- বিএফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন, দুই কর্মকর্তা এ কে এম আমিনুল করিম খান (সহকারী পরিচালক নিরাপত্তা ও প্রশাসন) ও রফিকুল ইসলাম (ল্যাব চিপ, অতিরিক্তি পরিচালক বিক্রয়)।
এছাড়া জায়েদ খান, নিপুণ আক্তার ও গুলজারও ছিলেন প্রতিনিধি দলে। কিন্তু তাদের মধ্যে নিপুণ ও গুলজার ভিসার জন্য দাঁড়াননি। তবে হলিউড-বলিউডের শিল্পীদের সঙ্গে দেখা করার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জায়েদ খানের।
জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ২০ জনেরও বেশি তালিকায় ছিলেন। তালিকা ছোট করতে গিয়েই তথ্য মন্ত্রণালয়ের এতোটা সময় দেরি হয়েছে। আর যখন চূড়ান্ত হলো তখন কান উৎসবের ঢাকে কাঠির পর বিসর্জনের বাজনার সময় হয়ে গেছে।
এদিকে অষ্টম দিনেও কান চলচ্চিত্র উৎসবের ছবির বাজারে ‘বাংলাদেশ বুথ’ ফাঁকাই থাকলো। বুধবার উৎসবের নবম দিনে এই ছবির বাজার শেষ হচ্ছে।
প্রথমবার অংশ নিয়ে এমন ফাঁকা থাকার নজির ক্ষোভ সঞ্চার করেছে বাংলাদেশ থেকে আসা ফিল্ম প্রফেশনালসদের। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে তুলে ধরার সম্ভাবনাকে নষ্ট করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.