চলতি অর্থবছরে সরকারি বাজেটের চেয়ে তিন গুণ বড় বাজেটের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। উন্নয়ন এবং পরিচালন ব্যয় মিলে এই বাজেটের মোট আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বিকল্প জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি আবুল বারাকাত।
তিনি জানান, তাদের ঘোষিত এই বাজেট সম্প্রসারণশীল বাজেট। এখানে ২৪টি মূল পয়েন্টের উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বৈষম্য ও অসম দারিদ্র্য নিরসন, সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বেষ্টনী, মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ ও সঞ্চয়, রেমিট্যান্স, পুঁজিবাজার, ব্যাংক, বৈদেশিক খাত, সরকারি ঋণ, কৃষি ভূমি, ভূমি মামলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়, প্রতিবন্ধী মানুষ, প্রকৃতি ও সরকারি অর্থের সংস্থান প্রভৃতি।
তিনি বলেন, সরকার আগামী অর্থবছরে যে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তার আকার ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বলে আমরা শুনেছি। সেক্ষেত্রে আমাদের বাজেট সরকারের চেয়ে ২ দশমিক ৭ গুণ বড়। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, লাগামহীন কর্মবাজার সংকোচন, মহামারি ও ইউরোপ যুদ্ধের অভিঘাত, এসব বিষয় মাথায় রেখে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
আবুল বারকাত বলেন, দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বহুমাত্রিক দরিদ্র। ধনী ও অতি ধনীর সংখ্যা ১ শতাংশ। বহুমাত্রিক দরিদ্রের সংখ্যা কোভিডকালের চেয়েও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি না বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সঞ্চয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। অনেকেই ধার-দেনা করে জীবন চালাচ্ছেন।
বিকল্প বাজেট সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৬৪টি জেলা, ১৩৫টি উপজেলা ও ৪৫টি ইউনিয়নের অর্থনীতি সমিতির সদস্যরা যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: এশিয়ার লৌহমানবী শেখ হাসিনা: ইকোনমিস্ট
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেছিল বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। ওই বাজেটে মোট ৩৩৮টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।
সেখানে অভ্যন্তরীণ উৎস রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল ১৮ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। ওই বাজেটে প্রত্যক্ষ করের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি কালো টাকা উদ্ধার ও পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে বাজেট ঘাটতি পূরণের কথা বলা হয়।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.