নারীর আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নের বহুমুখী প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ আরও অনেক বাড়ানো জরুরি বলে মত দিয়েছেন জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট ও অর্থনীতিবিদরা।
নিরাপদ পরিবহন ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসহ নানা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি নারী উন্নয়নে সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার গুরুত্বের কথাও বলেন তারা।
তিন মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে এই খুপরি ঘরে, চল্লিশোর্ধ্ব নাজমা বেগমের সংসার। দারিদ্র্য ছাপিয়ে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে পারেনি তার ঘরে। তাইতো ১৪-তে পা দেয়া নাবালিকা মেয়ের বিয়ের পাত্র খুঁজতে মরিয়া এই মা।
শুধু নাজমা বেগম নয়। এমন জীবন লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত নিম্নআয়ের পরিবারের। কৈশোরে যখন স্কুলে যাবার কথা, তখনই এমন ঘরের মেয়েদের বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে। অপরিণত বয়সে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতেও পড়ে তারা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা জানান, দারিদ্র্য ও আর্থ-সামজিক নিরাপত্তাহীনতাকে বাল্যবিয়ের অন্যতম কারণ বলছেন জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট এই আইনজীবী।
উই লার্ন ডে-কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিলা হক বলেন, দেশে এখনও নারীদের চাকরি ছাড়ার অন্যতম কারণ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের অভাব। সরকারি বেসরকারি প্রচেষ্টায় কিছু সেন্টার চললেও তা চাহিদার তুলনায় কম এবং ব্যয়বহুল। বাজেটে এমন সব জরুরি সেবায় বরাদ্দের পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা জানান, নারী উন্নয়নে সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার কথা বলছেন এই অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন
সরকার জেন্ডারবান্ধব বাজেট করলেও বরাদ্দের ব্যবহার ও প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে তেমন তথ্য-উপাত্ত ও পর্যালোচনা নেই। নারীর ক্ষমতায়নে উদ্যোগগুলোর মনিটরিং ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.