গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
৪৮০টি কেন্দ্রের ফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট; আর নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মাত্র ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন জায়েদা খাতুন।
গত ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন মনোনয়ন জমা দেন। ঋণখেলাপের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বৈধ হয় জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন। মনোনয়ন বাঁচাতে আদালতে গেলেও তাতে লাভ হয়নি।
জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় নিজেকে গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছিলেন।
তার জন্ম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ের মা তিনি।
মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পূর্বে রাজনীতি বা সামাজিক কোনো ক্ষেত্রেই তার নাম শোনা যায়নি।
তিনি পূর্বে নির্বাচন তো দূরের কথা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নেননি। ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করেই তিনি ক্রমশ পরিচিতি অর্জন এবং নির্বাচন ও রাজনীতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। এভাবেই তিনি এবারের মেয়র পদের নির্বাচনে তার অবস্থান অনেকটাই সুসংহত ও পাকাপোক্ত করে তুলেছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে: নির্বাচন কমিশন
অপরিচিতির ঘোরটোপ ডিঙিয়ে তিনি যেমন নাটকীয়ভাবে পরিচিতি লাভ করেছেন, তেমনি মেয়র পদে নাটকীয় জয়ের মাধ্যমে তিনি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চমক সৃষ্টি করেছেন।
একাত্তর/জো
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.