গাজীপুরের নির্বাচন শেষ হতেই দেশের আরও দুই সিটি খুলনা ও বরিশালে ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।
খুলনা ও বরিশালে মেয়র পদে লড়ছেন ১১ প্রার্থী। এর মধ্যে খুলনায় চারজন ও বরিশালে সাতজন। গাজীপুরের মতোই আগামী ১২ই জুন এই দুই নগরে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে।
শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে প্রতীক নেয়া শুরু করেন প্রার্থীরা। খুলনায় মেয়র পদে চারজনই দলীয় প্রতীকে লড়ছেন।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা, জাতীয় পার্টির শফিকুল আলম মধু লাঙ্গল, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীক পেয়েছেন।
এছাড়া ৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০ টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশালে সকাল দশটা থেকে রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নেন। মেয়র পদে সাতজনের মদ্যে চারজন দলীয় ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ নৌকা, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম হাতপাখা, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু গোলাপ ফুল প্রতীক পেয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান ঘড়ি, আসাদুজ্জামান হাতি এবং আলী হোসেন হরিণ প্রতীক পেয়েছেন।
বরিশালে ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১১৬ জনের মধ্যে ১১৫ জনকে প্রতীক দেয়া হয়েছে। সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ১০ পদে জন্য ৪২ নারী প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেওয়া হয়েছে প্রতীক বরাদ্দ।
আরও পড়ুন: ‘আমি মেনে নিয়েছি, অন্য কেউ মানতো?’
এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বৃহস্পতিবার বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান।
একাত্তর/আরবি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.