নতুন বাজেটে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা রপ্তানি আয়ের উপর আর্থিক প্রণোদনা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
এদিকে, স্মার্ট নাগরিক সেবার জন্য নতুন বাজেটের অর্থ থেকে এক লাখ ৯ হাজার প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
২০২৫ সাল নাগাদ প্রযুক্তিখাত থেকে রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে চায় সরকার। গবেষণা, উদ্ভাবন আর উদ্যোক্তার বিকাশ ঘটিয়ে পৌঁছতে চায় রূপকল্প ২০৪১-এ, যেখানে থাকবে এক স্মার্ট বাংলাদেশ। আর এজন্য আইসিটি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবার আহবান জানিয়েছে বেসিস।
একাত্তরের সাথে সাক্ষাৎকারে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, যেহেতু ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ, তখন রপ্তানি আয়ের উপর চাইলেও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া সম্ভব হবেনা।
তাই এখনই আর্থিক প্রণোদনা ২০ শতাংশ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। একইসাথে দেশি সফটওয়ার কেনায় বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা চালুর দাবিও জানান তিনি।
তিনি বলেন, গোটা ভ্যাট সিস্টেমই স্মার্ট করা প্রয়োজন। ২০১২ সাল থেকে ট্যাক্স এবং ভ্যাট সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় করার কথা হচ্ছে। এজন্য কারিগরি সক্ষমতার বিষয় থাকলে সবধরনের কারিগরি সক্ষমতা ও সহায়তা দিতেও প্রস্তুত বেসিস।
আইসিটি খাতে এবার কেমন বাজেট চাই, এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি স্থাপিত হতে চলেছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। এবার বাজেটে এই খাতে দুই হাজার ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই অর্থ পেলে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন ঠিকভাবে শুরু করা যাবে।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ
তিনি জানান, স্মার্ট বাংলাদেশকে একধাপ এগিয়ে নিতে আগামী বাজেটের বরাদ্দ থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি এবং অন্যান্য খাতে লক্ষাধিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চায় সরকার। এরপর উদ্ভাবন, গবেষণা, স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতে বেশি নজর দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.