গেলো অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতের বড় অংশ ভর্তুকির কাজে ব্যয় হলেও বেড়ে গেছে সার বীজ, সেচ ডিজেল সহ কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম।
ফলে বাড়তে থাকা উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা না গেলে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার লক্ষ কার্যকর হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেই সাথে বাজেটে কৃষি খাতে বিনিয়োগে কর ছাড়, বেসরকারি গবেষণাকে উৎসাহিত করা, ডিজিটাল খাতে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে তোলা সহ একাধিক দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের।
নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জন জীবনের যে বেহাল দশা আসছে বাজেটে সেটিই রোধ করাই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
ফলে গুরুত্ব পাবে নিরবচ্ছিন্ন কৃষি ব্যবস্থা চালু রাখা, গবেষণা বৃদ্ধি, কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়ন আর বিশ্ব বাজারে কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি তথা কৃষি খাতের বাণিজ্যিকায়ন। তবে কৃষি খাতের বাণিজ্যিকায়ন নিয়ে আছে সমালোচনাও।
কৃষি পণ্যের উৎপাদনে সার বীজ সেচ সহ ডিজেল বিদ্যুৎয়ের দাম বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ সেটি নিয়ন্ত্রণে না এনে নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়। ফলে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করেই আসছে বছরের বাজেটকে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক।
শুধু তাই নয়, খাত সংশ্লিষ্টদের দাবী কৃষি খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সরকারকে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিতে হবে বলে জানালেন এসিআই এগ্রিবিজনেস এমডি এফ এইচ আনসারী।
আরও পড়ুন: নতুন মার্কিন ভিসা নীতিকে ইতিবাচক বলছেন সাবেক কূটনীতিকরা
চলতি অর্থবছরে নিত্যনতুন বীজ উৎপাদন, যান্ত্রিক কৃষির ব্যাপক প্রচলন, সহ রপ্তানি বাজারে ব্যাপক সাফল্য থাকলেও আরো কার্যকর ব্যবস্থার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা
গেল অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি বছর এ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.