চট্টগ্রামে ধনেশ পাখি পাচারকালে দুই জনকে আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এসময় চারটি পাখি উদ্ধার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত দুই জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ধনেশ পাখি মূলত রাজ ধনেশ নামেও পরিচিত।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশখালী থানার গুণাগরি এবং আনোয়ারা থানার মইজ্জ্যার টেক এলাকা থেকে এই রাজ ধনেশ পাখি পাচারের ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার দীঘার পানিখাল গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. সেলিম (৪২) এবং বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার পূর্ব খোস্তাকাটা গ্রামের মিজানুর রহমান (৪২)।
পুলিশ জানায়, বান্দরবান জেলার আলীকদম এলাকা হতে রাজ ধনেশ পাখি নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাঁশখালী এলাকা অতিক্রম করছিল। গোপন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাটি থামানো হয়। এসময় ইঞ্জিন কাভারের ওপরে বাঁশের তৈরি খাচার ভেতর থেকে চারটি ধনেশ পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়ে অন্যজনকে আটক করা হয়।
ওসি কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এক জোড়া ধনেশ পাখি চার লাখ টাকায় বিক্রির উদ্দেশে পাচার করা হচ্ছিলো। উদ্ধার পাখিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের কাজ প্রায় শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষা
ধনেশ পাখি সম্পর্কে খোঁজ করে জানা গেছে, বাংলাদেশে এটি বিরল অথবা বিলীন হয়েছে। একসময় সম্ভবত সব মিশ্র চিরসবুজ বনেই রাজ ধনেশ বাস করতো। এখন কালেভদ্রে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বন বিভাগের গহিন বনে কোথাও দুই-এক জোড়া চোখে পড়ে। বাংলাদেশ ছাড়ারাও নেপাল, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রাজ ধনেশ পাওয়া যায়।
একাত্তর/এসি
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.