অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সাজা হবে কি না সে বিষয়ে আগামী ১২ অক্টোবর রায় ঘোষণা করবেন আদালত। ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম সেদিন এ রায় ঘোষণা করবেন।
সোমবার (৪ অক্টোবর) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক এ মামলার রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন। এদিন যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বাবর। তবে, তার পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিল না।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। এরপর ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা দায়ের করে।
মামলার বাদী ছিলেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: দুইজনের যাবজ্জীবন
অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেখানে বলা হয়, বাবর দুদকে ছয় কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তবে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআরে ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকার তথ্য তিনি গোপন করেছেন।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট আদালত বিচার শুরুর আদেশ দিলেও উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে মামলার বিচার দীর্ঘদিন আটকে ছিল।
এদিকে, বিচারিক আদালত পরিবর্তনের জন্য বাবরের করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট গত বছর ৩০ দিনের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ততার মামলায় আদালত লুৎফুজ্জামান বাবরের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
একাত্তর/এসজে