সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর আজ।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতার রুমে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর ফাহাদের হত্যা মামলার দুই বছর পূর্ণ হলেও এখনও শেষ হয়নি বিচারিক কার্যক্রম।
বর্তমানে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে আগামী ২০ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করলে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পাঁচ সপ্তাহ তদন্তের পর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম। এছাড়া এজাহারবহির্ভূত ছয় আসামি ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ এবং পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। পলাতকদের মধ্যে প্রথম দুইজন এজাহারভুক্ত আসামি।
আরও পড়ুন: নিউজপোর্টাল চালুর আগে নিবন্ধন করতে হবে
এর আগে ১৪ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এ পর্যন্ত মামলায় মোট ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ পাঠানোর আদেশ দেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় এখনো রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এরপর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীতে আদালত বন্ধ থাকায় বিচারকার্য পিছিয়ে যায়। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের ভুলের কারণে পুনরায় অভিযোগ গঠনসহ বিচারকের প্রতি আসামিপক্ষের অনাস্থা এবং পরবর্তী সময়ে বিচারকের করোনাক্রান্ত হওয়ায় মামলার দীর্ঘসূত্রিতায় দুই বছর পরও শেষ হয়নি বিচারকাজ।
একাত্তর/টিএ