স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতা ও বাধার কারণে কলাবাগান মাঠে পূজা উদযাপন করতে পারছে না বলে দাবী করেছে ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়ে তার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে কমিটি।
একইসঙ্গে কলাবাগান মাঠে পূজা উদযাপনের অনুমতি দানে ২৪ ঘন্টার আন্টিমেটাম দেয় ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি। এর মধ্যে বিষয়টির সমাধান না হলে বিক্ষোভসহ দেশের সকল পূজা মণ্ডপে কালো পতাকা প্রদর্শন ও গণ অনশনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ধানমন্ডি পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমেন সাহা বলে, আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা ২০০৭ সাল থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছি। এ এলাকার প্রায় ৬০ হাজার হিন্দু অধিবাসীর জন্য কোনো মন্দির না থাকায়, কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠেই বিগত চৌদ্দ বছর ধরে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী প্রার্থনীয় এই পূজা সারা দেশে সাত বার প্রথম স্থানও অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: মা ক্যান্সার রোগী, সেবার শর্তে মুক্ত সাজাপ্রাপ্ত ছেলে
তিনি আরও বলেন, গত ২৬ আগস্ট আমরা বিগত বছরের মতো বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশিত সমস্ত নিয়মকানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর লিখিত অনুমতি প্রার্থনা করি। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাইনি। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও ১৫তম বারের মতো আমরা সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শরণাপন্ন হলে তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই দিনের মধ্যে পূজা উদযাপন করার অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র থাকার পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতার কারণে আমরা পূজা উদযাপন করতে পারছি না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার মণ্ডল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কাজল দেবনাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।
একাত্তর/আরএইচ