মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের অনুমোদন থাকার পরও মানবপাচারের অভিযোগে আরব আমিরাতে যেতে পারছেন না বাংলাদেশি কর্মীরা।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অসহযোগিতার কারণে কর্মী যাওয়া বন্ধ হলে তা আত্মঘাতী হবে বলে একাত্তরকে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী।
আর, জনশক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারো আবর আমিরাতের বাজার হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাইতে কাজের ভিসায় বাংলাদেশিরা যেতে পারলেও শারজা বা আবুধাবিতে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। তাই, বাংলাদেশ থেকে ভিজিট ভিসা নিয়ে ইউএই গিয়ে সেটি কাজের ভিসায় পরিবর্তন করছেন প্রবাসীরা।
কিন্তু কারা ভ্রমণ ভিসায় আমিরাতে যেতে পারবে আর কারা পারবেন না তা নির্ভর করবে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশনের সিদ্ধান্তের উপর। এমনকি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজের নিশ্চয়তা দিয়ে ছাড়পত্র দিলেও তা গ্রহণ করছে না ইমিগ্রেশন।
বিষয়টিকে আত্মঘাতী হিসাবে দেখছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বৈদেশিক শ্রম বাজার।
সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, ভ্রমণ ভিসায় আমিরাতে গিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের নানা দেশে যাবার চেষ্টা করে বাংলাদেশিরা। মানবপাচার প্রতিরোধেরই তাদের এই ব্যবস্থা।
২০২০ সালের আগষ্টে আবর আমিরাত বাংলাদেশকে সুযোগ দেয় ভ্রমণ ভিসায় দুবাই গিয়ে কাজের ভিসায় পরিবর্ত করার। এরপর গড়ে দৈনিক ২০০০ থেকে ২২০০ বাংলাদেশি দেশটিতে এই পদ্ধতিতে যেয়ে থাকে।
একাত্তর/এআর