১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ দখল করার লক্ষে কাশ্মীরের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও কাবায়েলি জনগোষ্ঠীর সদস্যরা, যার নাম ‘অপারেশন গুলমার্গ’। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের ওপর চালানো অপারেশন সার্চলাইটের মতো এই গণহত্যাকে স্মরণ করতে দিনটি পালিত হয় ‘ব্ল্যাক ডে’ নামে।
দিনটিকে স্মরণ করতে গতকাল শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীতে বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করেছিলো বেশ কিছু নাগরিক সংগঠন। ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে ‘ব্ল্যাক ডে- ইনভেশন অফ কাশ্মীর বাই পাকিস্তান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে র্যাশনালিজম এন্ড লিবারেলিজম প্র্যাকটিস ফোরাম। সেমিনারে গণহত্যাকে নিন্দা জানিয়ে ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে, বিকেলে পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে মানববন্ধন করে ওপেন ডায়লগ বাংলাদেশ। কাশ্মীরের নারী ও শিশুদের ওপর পাকিস্তানি নির্যাতন এবং তাদের লুটপাটের চিত্র পোস্টার, ব্যানার এবং স্লোগানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় সেখানে।
অপারেশন গুলমার্গের সাথে অপারেশন সার্চলাইটের সাদৃশ্য তুলে ধরতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নেন প্রায় দুইশ' দর্শক।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে দেশে হিন্দুদের গণঅনশন বিক্ষোভ
পাক সেনা কর্তৃক কাশ্মীরে ১৯৪৭ সালে গণহত্যা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং আফগানিস্তানে পাকিস্তান সমর্থিত নৃশংসতার প্রতিবাদে সকালে পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে জড়ো হন স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা। এসময় পোস্টার এবং ব্যানার নিয়ে তারা পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
‘ব্ল্যাক ডে’ নিয়ে ঢাকার বাইরেও ছিল নানা আয়োজন। খুলনার হাদিস পার্ক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাধারণ মানুষের মাঝে দিনটি নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে অংশগ্রহণকারীরা শহরজুড়ে বাইসাইকেল র্যালি করেন।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।