একাত্তর ডেস্ক
চট্টগ্রাম কারাগারে ফরহাদ হোসেন রুবেল নামে এক হাজতির হদিস না পাওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম কারাগারের জেলারসহ চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেলার রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার, সহকারী প্রধান কারারক্ষী রফিকুল ইসলাম ও কারারক্ষী নাজিমুদ্দিনকে বরখাস্ত এবং সহকারী কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে নিয়মিত বন্দি গণনাকালে বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেলের (হাজতি নম্বর: ২৫৪৭/২১) অনুপস্থিতির বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ ঘটনার পর বিকালে নিখোঁজ বন্দির সন্ধানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বাজানো হয় ‘পাগলা ঘণ্টা’। কারাগারে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় জিডি করা হয়েছে।
কারাগার সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুসারে, সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রুবেল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায়। কারাগারে পাঠানোর পর এই বন্দিকে রাখা হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনে।
হাজতি ‘নিখোঁজ’ হবার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক ছগির মিয়াকে প্রধান করে করা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কারা মহাপরির্দশক জানান।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদ।