সোমবার সকালে গণভবন থেকে শিশু একাডেমিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম ও সামাজিকতার অচলায়তন ভেঙে নারী আজ সবখানেই প্রতিষ্ঠিত। এই অগ্রযাত্রার শুরু আওয়ামী লীগের আমলেই। মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিণী, জননী ও নারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
সরকার প্রধান আরও বলেন, জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, উপনেতা, বিরোধী নেতা সব নারী। এভাবে রাজনীতিসহ বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসছে। অচলায়তন ভেদ করে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটি সবচেয়ে বড় সফলতা।
তিনি বলেন, যে কোনো অর্জনের পেছনে একজন নারীর যে অবদান থাকে, সেটাই সব থেকে বড় কথা। তাই সমাজকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা মনে করিয়ে দেন, একটি সমাজের অর্ধেক যদি অকেজো থাকে, তাহলে সেই সমাজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। আগে ধর্মের নাম নিয়ে বা সামাজিকতার কথা বলে নারীদের ঘরে বন্ধ করে রাখার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেই অচলায়তন ভেদ করে মেয়েরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন এ অনুষ্ঠানে সংগ্রামী পাঁচ নারীকে জাতীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতার’ সম্মাননা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দরা।
