হাট-বাজার থেকে শুরু করে গণপরিবহন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু খোলা রেখে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি দুই সপ্তাহ বাড়ানোর সমালোচনা করেছেন শিক্ষাবিদরা।
টিকা পাওয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে সরাসরি ক্লাস পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। সেই সাথে অনলাইন ক্লাসও চাইছে না শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
৬ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হবে, এমন ভাবনার মাঝেই গেলো বুধবার আরেক দফা দু’সপ্তাহ ছুটি বাড়লো। কিন্তু যাদের সুরক্ষায় ছুটি বাড়ালো, কি বলছেন সেই শিক্ষার্থীরা?
অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তারা জানাচ্ছে, সশরীরের ক্লাসের সঙ্গে কোন কিছুর তুলনা হয়। স্কুলে শুধু পড়ালেখাই নয়, বেড়ে উঠার অনেক কিছু শেখার সুযোগও আছে।
শিক্ষার্থীদের আশা, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার শিগগিরই স্কুল খুলে দেবে সরকার। কারণ এরিমধ্যে অনেক দিন বন্ধ থাকায় অনেকে ক্ষতি হয়ে গেজে তাদের।
শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ তাতে কি? চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাপ্তরিক কাজ। প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, নবম-দশম শ্রেণি আর দুই পাবলিক পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাস জরুরি।
অন্যদিকে, সব কিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় সমালোচনা করেন শিক্ষাবিদেরা। তারা বলছেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টারে ছুটছেন অভিভাবকরা।
স্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, কম সংক্রমিত এলাকায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যেতে পারে।
এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর আবারো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
একাত্তর/এআর