মৃত তিনজন হলেন- কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৬), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮) ও কিশোর চন্দ্র রায় (৭০)। আইসিইউতে তাদের কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল।
পরিচালক নাজমুল হক বলেন, আগুন লাগার পর আইসিইউ ওয়ার্ড থেকে ১৪ জন রোগীকে অন্য আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ১৪টি আইসিইউ কক্ষে ১৪ জন রোগী ছিলেন; তাদের সবার অবস্থাই সঙ্কটাপন্ন ছিল। তারা ভেন্টিলেটশনে ছিলেন। আগুন লাগার পরপরই দ্রুত তাদের পুরাতন ভবনের আইসিইউ ও বার্ন ইউনিটের এইচডিইউতে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আইসিইউতে আগুন লাগার পর ধোঁয়া বের হয়। হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোগীদের সেখান থেকে বের করে আনেন। অক্সিজেনের লাইন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আইসিইউতে থাকা অনেক যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক নাজমুল হক।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জানান, আগুনের ঘটনায় অধিদপ্তরের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, তাদের পাঁচটি ইউনিট সকাল সাড়ে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি পরে জানানো হবে।