১৯ মার্চ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কান এয়ারের একটি বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে।
বিমানবন্দরে রাজাপক্ষেকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। ২১বার তোপধ্বনির পর সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজাপক্ষে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২ দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিন আজ বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন রাজাপক্ষের সাথে। সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে রাজাপক্ষে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দিবেন। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
শনিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকা ও সংশ্লিষ্ট সড়ক বর্নিল সাজে সজ্জিত হয়েছে। দুই দেশের সরকার প্রধানের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে মোড়ে মোড়ে।
১০ দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় এ আয়োজনে প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর করবেন।