নিলামযোগ্য তিন হাজার কেজি স্বর্ণ পড়ে আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চোরাচালানে আটক স্বর্ণও নিলাম হচ্ছে না মামলা জটিলতায়।
আর মামলার জট খুলতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দুর্নীতি দমনকমিশনের (দুদক) পদক্ষেপের অভাবও রয়েছে।
এই খাত সংশ্লিষ্ট এবং বিশ্লেষকরা একই সুরে জানিয়েছেন, সংস্থাগুলোর দ্রুত সিদ্ধান্ত সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব এনে দিতে পারে।
দেশের বিমানবন্দরগুলোতে চোরাচালানকৃত পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক হয় স্বর্ণ। অবৈধ স্বর্ণের চালানগুলো যথারীতি বছরের পর বছর জমা হয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বলছে, ভল্টে বর্তমানে পাঁচ হাজার কেজিরও বেশি স্বর্ণ জমা আছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ স্বর্ণ সরকারের কাছ থেকে কিনে রিজার্ভ আকারে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অন্যদিকে, দুই হাজার ৯০১ কেজি রাখা আছে অস্থায়ী ভল্টে। যার বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার সাতশ’ কোটি টাকা।
এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাতবার স্বর্ণালংকার নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় হয়েছে স্বর্ণ। বর্তমানে ৩৮ কেজি স্বর্ণ চাইলে এখনই নিলামে বিক্রি সম্ভব।
যদিও এরমধ্যে দুদকের তদন্তাধীন প্রায় ১১ কেজি র্স্বণ বিক্রির কোন গতি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, এজন্য প্রয়োজণীয় পদক্ষেপ নিতে গেলো বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দুই দফা চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি দুদক ও এনবিআরের কাছে।
দেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা প্রায় ২১ টন। সম্প্রতি আইন করে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ তৈরি করে দেয়া হলেও ভ্যাট আর কর জটিলতায় কারণে তা ব্যবহার হচ্ছে না।
প্রয়োজনে স্বতন্ত্র কমিটি করে আটক করা স্বর্ণ দ্রুত বিক্রির উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকরা।
একাত্তর/টিএ