সম্ভাব্য ধ্বংসের হাত থেকে আবারো বেঁচে গেছে পৃথিবী। বলা হচ্ছিলো পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবার সময় একটি গ্রহাণু আঁছড়ে পড়তে পারে এই ধরা তলে। যদি তাই হতো তা হলে,এই খবরটি আর পড়তে হতো না, সুযোগ থাকতো না লেখারও।
মহাকাশে এমনই এক ভয় ধরানো ঘটনা ঘটে গেছে রোববার রাতে। পৃথিবীর একদম গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে একটি বড় গ্রহাণু। সেটি যদি ধাক্কা মারতো তাহলে বড় ক্ষতি হয়ে যেত পৃথিবীর, সেই সঙ্গে পৃথিবীবাসীর৷
এই অ্যাস্টোরয়েড বা গ্রহাণুর নাম 2001 FO32 । এটি পৃথিবীর গা ঘেঁষে প্রতি সেকেন্ডে ৩৪ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হচ্ছিলো। এই প্রচণ্ড গতি পৃথিবীকে চুরমার করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অ্যাস্টোরয়েডটি পৃথিবী থেকে মাত্র ২০ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যায়। মহাকাশের হিসেবে যা খুব একটা বেশি দূরের নয়। যদি এটিকে পৃথিরীর মধ্যাকর্ষন শক্তি টান মারতো তাহলে বড় বিপত্তি ঘটে যেতে পারতো।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসার বিজ্ঞানীরাজানাচ্ছেন, এই অ্যাস্টোরয়েড এত তাড়াতাড়ি ঘুরতে পারে না। কিন্তু পৃথিবীর কোল ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ এ রকম গতিতে যাওয়ার কারণহলো, গ্রহাণুটি নিজ অক্ষে ঘোরার সময় সূর্যের থেকে শক্তি নিয়ে নিজের গতি বৃদ্ধি করে।
বিজ্ঞানীরাজানান, এই অ্যাস্টোরয়েডকেযখন দেখা যায় তখন এটি পৃথিবীর দিকে ৩৯ ডিগ্রি হেলে ছিল।এর জন্য সূর্যের কাছে পৌঁছে গিয়ে গতিবৃদ্ধি করেছিল৷
ইতালির সেসানোতে স্থাপতি ভার্চুয়াল টেলিস্কোপেরমহাকাশ পদার্থবিদ জিয়ালুকা মাসি জানান, প্রথমবার যখন এই গ্রহাণুরদেখা মেলে তখন সেটি অনেক চকচকে ছিলো।আর সেটি দ্রুত গতিতে সূর্যের দিকে ধাবিত হচ্ছিলো।
সূর্যের একটা চক্করে ৮১০ দিন ধরে প্রদক্ষিণ করে তারা। ২০ বছর আগে এই গ্রহাণু প্রথমবার নিজের পরিচিত জানানদেয় কিন্তু সে পৃথিবীর জন্য কখনও ক্ষতিরকারণ হয়ে ওঠেনি।আগামীতে হবে কিনা সেটিও বলার সময় হয়নি।