সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রতিটি বিভাগ এবং জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসন। অনেক জেলায় ভিড় এড়াতে ছুটির দিনেও টিকাদান কর্মসূচি চালু রাখা হয়।
ছুটির দিনেও দারুণ উৎসাহে টিকা নিয়েছেন আগ্রহীরা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত শনিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে, তবে এর পরেও কেউ বাদ পরলে টিকা নিতে পারবেন।
গেল ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা নেয়ার আগ্রহীদের সংখ্যা বেড়েছে সাভারে। ছুটির দিনেও এর কোন কমতি ছিলো না। তবে বৃহস্পতিবারের মতো মানুষের ঢল দেখা
ছুটির দিনে মানিকগঞ্জে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চলে টিকাদান কর্মসূচি। জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান জানিয়েছেন, শনিবার গণটিকা পাবেন এক লাখ মানুষ।
ভিড় এড়াতে শুক্রবারেও কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্রে চলে টিকা দেয়া। এছাড়া নগরীসহ ১৭ টি উপজেলায় শনিবারের গণটিকা কার্যক্রমে সফল করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ডোজ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। শনিবার ১৪ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৩টি করে কেন্দ্রে চলবে এই কর্মসূচি। আর নগরের ১১টি কেন্দ্র ছাড়াও নগরীর বাইরে ৪১ ট ওয়ার্ডে তিনটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগে ১,২৩১টি কেন্দ্রে চার লাখ ৭৭ হাজার মানুষকে গণটিকা দেয়ার লক্ষ্য ধরেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্র ছাড়াও অতিরিক্ত দশটি পয়েন্টে থাকবে ভ্রমমাণ টিকা কেন্দ্র।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৯টি করে কেন্দ্রে ৫০০ জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। অন্যদিকে, বরিশাল বিভাগে টিকার আওতায় এসেছেন ৫৭লাখ ৫৯ হাজার মানুষ। শনিবার চলবে গণটিকা কার্যক্রম।
গণটিকা কর্মসূচির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় এক লাখ সাধারণ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। এজন্য সব প্রস্তুতিও শেষ করে এসেছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।