ছুটির দিনেও রাজধানীর উত্তর সিটির মানুষেরা পেয়েছেন করোনার টিকা। শনিবার দেশব্যাপী বিশেষ টিকা কার্যক্রমের কথা থাকলেও ঢাকার উত্তরে এই কার্যক্রম চলছে তিনদিন ধরে।
ছুটির দিন হওয়ায় ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে ছিলো টিকা প্রত্যাশী মানুষের প্রচুর ভিড়। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, মানুষ বেশি হলেও টিকা নিয়ে কোন সঙ্কট নেই।
শুক্রবার, ছুটির দিনে হাসপাতালগুলোতেও ছিলো টিকা নেয়ার ব্যবস্থা। তবে সেখানে ভিড় তেমন ছিলো না। কারণ, এসব কেন্দ্র যে খোলা থাকবে তা জানা ছিলো না অনেকেরই।
বর্ণাঢ্য প্রচার ঢাকার রাস্তায় রাস্তায়। এই প্রচার টিকা নেয়ার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে চলতি মাসের বিশেষ টিকা কার্যক্রমের পর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রথম ডোজ নেয়ার সুযোগ আর নাও মিলতে পারে।
তাই শেষ সুযোগ হিসেবে বাদ পড়া মানুষদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। দিনব্যাপী সেই প্রচারই চলেছে, এলাকায় এলাকায় রিকশায় করে মাইকিং করা হয়েছে।
শনিবার দেশব্যাপী একদিনে এককোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা। যদিও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে এই বিশেষ টিকা কার্যক্রম চলছে তিনদিন ধরে।
শুক্রবার ছুটির দিনেও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে টিকা নেন হাজারো মানুষ। এরপর আর এতো সহজে টিকা মিলবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই। তাই সবাই আগ্রহী টিকা নিতে।
দক্ষিণখানের কসাই বাড়ি রেলগেইট এলাকায় একটি গণটিকা কেন্দ্রের কার্যক্রম দেখতে এসে মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, মানুষ যতই থাকুক টিকা মজুদ আছে পর্যাপ্ত।
সবাইকে টিকা নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে সব দোকানপাটের মালিক ও কর্মচারী এক ডোজ টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে পারবে না তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ প্রায় পাঁচগুণ
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকায় শুক্রবার ছুটির দিনেও চলেছে নিয়মিত টিকার কার্যক্রম।
যদিও সময় স্বল্পতায় প্রচারের অভাবে হাসপাতালগুলোতে টিকা নেয়া মানুষের ভিড় ছিলো না একেবারেই। তাই যারাই এসেছেন তারা বেশ আরামেই টিকা নিয়ে ফিরে গেছেন।
একাত্তর/আরএ