মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
খুনিদের দ্রুত ধরা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় নেপথ্যে থেকে যদি কেউ কলকাঠি নেড়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উন্মোচনে র্যাব ও ডিবি পুলিশসহ কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে টিপু খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। একই ঘটনায় গুলিতে কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়। সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে টিটুকে টেলিফোন করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। তবে সে বিষয়ে কোন জিডি বা মৌখিকভাবে পুলিশকে তখন জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: টিপুকে হত্যা করতে খুব কাছ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি
ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, যানজটের মধ্যেই হেলমেট পরা একজন ব্যক্তি ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে একটি মাইক্রোবাসের সামনের আসনে বসা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে রাস্তা পেরিয়ে চলে যায়।
একাত্তর/এসি