সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার র্যাবের লিগ্যাল মিডিয়া পরিচালক কমান্ডর খন্দকার আল মঈন একাত্তরকে এ তথ্য জানান।
এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, হেফাজতের মদতে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া সবগুলো সহিংসতায় জড়িতদের এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মঈন জানান, সহিংসতা ঘটনার পেছনে থাকা মদদ ও উস্কানির সঙ্গে জড়িত হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
অপরদিকে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ১৬টি মামলার তদন্ত দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার একাত্তরকে জানান, হেফাজত নেতা, যারা সহিংস ঘটনার উস্কানি, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়েছেন তাদের তালিকা ধরে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গোয়েন্দা তথ্যে দেশ অস্থিতিশীল করতে সরকার বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের অর্ধশত নেতার যোগাযোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদেরই সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এদিকে মামলাগুলো তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, হেফাজতের সহ সভাপতি মাওলানা জুবায়ের, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি সাখাওয়াত, জুনায়েদ আল হাবিব, শরিয়ত উল্লাহ, জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং মামুনুলহকসহ সম্প্রতি ছোট-বড়ো প্রায় দেড়শ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্ত বিভিন্ন সংস্থার কাছে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।