সাংবাদিক নাদিম হত্যার মূল হোতা এবং সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু গ্রেপ্তার হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তারা। বাবুকে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকার নির্যাতিত মানুষ। তারা বলছেন, ক্ষমতার দাপটে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো বাবু।
বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়নের দাসের হাটের হুমায়ূন কবির। ২০১৯ সালে পুলিশে চাকরির জন্য চেয়ারম্যান বাবুকে তিনি ৯ লাখ টাকা দেন।
চাকরি দিতে না পারায় লোকজনকে সাক্ষী রেখেই সেই টাকা ফিরিয়ে দেন বাবু। কিন্তু দুদিন পরই হুমায়ুনের বাড়িতে ঘটে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা। সেই ৯ লাখ টাকা লুটে নেয় ডাকাতরা।
পরে জানা যায়, এই ডাকাতির নেপথ্যে ছিলেন বাবু চেয়ারম্যান। তার ইশারাতেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। আর সেই টাকার শোকে মারা যান হুমায়ুনের বাবা।
এমন সব বহু অভিযোগ বাবু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এতোদিন না পারলেও এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসি। বেরিয়ে আসতে তার একের পর এক নির্যাতনের কাহিনী।
সাধুরপাড়া ইউপি'র নারী সদস্যে ও গ্রামের অসহায় নারীরাও তার কাছে নিরাপদ ছিলো না। সাহায্য চাইতে গেলে ধর্ষণ নির্যাতন ছিলো নিয়মিত ঘটনা।
নাদিম হত্যায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর দাবি করেছে, কেবল দল থেকে বহিষ্কার করাই নয়; দ্রুত মাহমুদুল আলম বাবুকে চেয়ারম্যান পদ থেকেও বরখাস্ত করা হোক।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ পাটহাটি এলাকায় বাবুসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে পিটিযে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলে আহত করে।
পরে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নাদিম। এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
একাত্তর/এআর