করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া দফায় দফায় লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ রেস্তোরাঁ খুলে দিতে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টায় এ শিল্পের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে চাই। তাও যদি অনুমতি না মেলে তাহলে অন্তত ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে রেস্তোরাঁ চালু করা হোক।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ কর্মী এবং তাদের সঙ্গে জড়িত দুই কোটি মানুষ। যারা করোনায় চলমান এ লকডাউনের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সংক্রমণ রোধে বর্তমান যে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারি চালু রয়েছে তার সংখ্যাও মাত্র দুই থেকে তিন শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৫৫ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে চললো পণ্যবাহী ট্রেন
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমলাতন্ত্রের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আজ হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতের আজ দুরবস্থার শিকার। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় এ খাতে আর্থিক ক্ষতি ছিলো ৬০ হাজার কোটি টাকা আর এখন সব মিলিয়ে এখন ক্ষতির এ পরিমাণ প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা।
রেস্তোরাঁ খাতে কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় এনবিআর যখন যেভাবে পারছে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, অনলাইন ফুড ডেলিভারিতে বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসী মনোভাব এ খাতকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ফুডপান্ডা ও পাঠাওয়ের স্বেচ্ছাচারী দাম হাকাঁনোর কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার ক্রেতা ও দেশীয় মালিকরা।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অথবা ৫০% আসন খালি রেখে রেস্তোরাঁ খোলা রাখা।
২. রানিং ক্যাপিটাল হিসেবে এসএমই খাত থেকে সহজ শর্তে ও অল্প সুদে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ।
৩. হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা দান।
৪. কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা প্রদান।
৫. হোটেল-রেস্তোরাঁকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া।
৬. ই-কমার্স টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে ১০% কমিশন করা ও সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা।