শুধুমাত্র পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমোদন থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে বেশি দামের এভাসটিন ও অ্যাকটিমরা ইনঞ্জেকশান। যেগুলোর এক ডোজের দাম এক থেকে দুই লাখ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেনি ইঞ্জেকশান দুটির আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসি। তবে, এগুলোর যথেচ্ছ ব্যবহারে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে করোনা রোগীর স্বজনরা রীতিমতো দিশেহারা।
ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে কোভিড আইসিইউতে আছেন ৬৫ বছরের সুফিয়া হক। হাসপাতালের চিকিৎসক এভাসটিন ইনজেকশনটি রোগীকে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আবার, তিন ডোজের অ্যাকটিমরা ইনজেকশনও আইসিইউতে থাকা রোগীদের ঢালাওভাবে দেয়ার পরমর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এই ইনঞ্জেকশন কিনতে নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভিড় করছেন রোগীর স্বজনরা।
ঢাকা মেডিক্যালের মেডিসিন ও ইনজেকশন বিশেষজ্ঞ ডা: ফরহাদ উদ্দীন জানালেন, বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে আইসিইউতে থাকা রোগীদের সবচেয়ে বেশী এভাসটিন ও অ্যাকটিমরা ইনঞ্জেকশন দেয়া হচ্ছে।
তারা বলছেন, এভাস্টিন ইনঞ্জেকশনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য হলেও চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে। আর, মাত্র দুই শতাংশ আইসিইউ রোগীকে দেয়ার নিয়ম থাকলেও ৯৫ শতাংশ রোগীকে অ্যাকটিমরা ইনঞ্জেকশন দেয়া হচ্ছে।
এই দুটি ইনঞ্জেকশন ব্যবহারের পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। ইনজেকশন দুটি সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস। এই বিষয়ে একাত্তর টিভির সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
একাত্তর/আরএইচ