গেলো বছরের তুলনায় রাজধানীতে এবার ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান এক জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
কীটতত্ববিদরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন যে প্রক্রিয়ায় মশা নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে তাতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
জনগণকে সম্পৃক্ত করে একযোগে এডিসের উৎস ধ্বংস করতে হবে। নতুবা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহারের জন্য বেশকিছু পাত্রে পানি ধরে রেখেছেন মিরপুর এগারো নম্বরের এক বাড়ির বাসিন্দারা।
মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে পাত্রগুলো ঢেকেও রাখা হয়েছে। কিন্তু, পাত্রের উপরে জমে থাকা অল্প একটু পানিতেই যে এডিসের লার্ভা হবে কে জানতো!
এডিস মশার ঘনত্ব নির্ণয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এভাবেই জরিপ চালাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের ৯৪টি ওয়ার্ডে যা ৭ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
জরিপকারী দলের সদস্যরা বলছেন, মোটামুটি সব ওয়ার্ডেই এডিসের লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। যা গেলোবারের চেয়ে অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে চিহ্নিত এডিসের উৎসগুলোতেই অভিযান চালাচ্ছে ঢাকার দুই নগর প্রশাসন। সেই চিরুনি অভিযানে নির্মানাধীন বেশিরভাগ স্থাপনাতেই মিলছে এডিসের লার্ভা।
আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ব্যাক্তি সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছে নগর প্রশাসন।
কিন্তু, রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের চলমান মশা নিধন অভিযানের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কীটতত্ববিদরা।
তারা বলছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বাড়ি কিংবা স্থাপনা নয়, স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে একযোগে সব স্থাপনা থেকে এডিসের উৎস নির্মূল করতে হবে।
এডিসের অব্যাহত এমন বিস্তার ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে দিনকে দিন ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৪ জন। আর বেশিরভাগ রোগীই রাজধানীর বাসিন্দা।
একাত্তর/আরএইচ