দেশে করোনা সংক্রমণের ৫১৬ তম দিনে করোনায় আরও ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৬ জন। এখনও পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ জন।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ১৫০ জনের।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯৪ জন। এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন।
দেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৮০৭টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ হাজার ১৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৩২ হাজার ৩২২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ১১ হাজার ৩৭১টি।
২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮১ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ জন আর নারী ১১০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে পুরুষ মারা গেলেন ১৪ হাজার ৮২২ জন আর নারী মারা গেছেন সাত হাজার ৩২৮ জন।
বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুইজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন সাতজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৬ জন, খুলনা বিভাগের ৩৬ জন, বরিশাল বিভাগের ২০ জন, সিলেট বিভাগের ১৬ জন, রংপুর আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন আটজন করে।
আর ২৪৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ছয়জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর জানিয়েছে, গত জুন মাসে দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশই ডেল্টা ধরনের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৬ জুলাই ১১ হাজার ৫২৫ জনের করোনার ধরা পড়ে।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ১০ জেলায় করোনা ও উপসর্গে একশ’ মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডও-মিটারের শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেলের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৬ হাজার ৬১০ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৯ জন। ভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২০ কোটি ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৭ জন।
একাত্তর/আরএ